ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বগুড়ায় সেই ক্লিনিক সিলগালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
বগুড়ায় সেই ক্লিনিক সিলগালা ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্রে মৃত্যুর অভিযোগে বগুড়া শহরের ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে শহরের সাতমাথা হয়ে শেরপুর রোডের সাতানী বাড়ীর সংলগ্ন ওই ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল।


 
এ সময় জেলার সিভিল সার্জন ডা. সামছুল হক, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু, ক্লিনিক ভিজিট টিম উপস্থিত ছিলেন। তবে অভিযানকালে ক্লিনিকের মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারি, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা সবাই পলাতক ছিলেন।  

জেলার সিভিল সার্জন ডা. সামছুল হক বাংলানিউজকে জানান, ক্লিনিকটির কোনো ধরনের অনুমোদন নেই। এ সংক্রান্ত আবেদনও সংশ্লিষ্টরা করেনি। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ক্লিনিকটি পরিচালনা করা হচ্ছিলো। এসব কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেন।
 
এর আগে বুধবার (১৮ জুলাই) বিকেলে শহরের ফুলদীঘি পূর্বপাড়ার আব্দুল আজিজ লিটনের ছেলে এবং শহরের ফয়জুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সাকিব হাসানকে (১৫) ওই ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। সে পেটের ব্যথায় ভুগছিলো। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার পেটে অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়লে রাত ৮টার দিকে সাকিবকে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। ডা. এ কে পাল ছেলের অপারেশন করেন। অপরাশেন থিয়েটার থেকে সাকিবকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বের করা হয়। তখন সাকিব অজ্ঞান ছিলো। এভাবে কিছু সময় কেটে যাওয়ার পর আজিজ লিটন তার ছেলেকে নিয়ে শহরের কানছগাড়ী এলাকায় অবস্থিত আরেকটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এমবিএইচ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।