সফররত জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিলস অ্যানেন বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
সাক্ষাতে জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য তার দল আওয়ামী লীগের দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এখন নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা ভোগ করে এবং গত ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও বিভিন্ন উপ-নির্বাচনসহ প্রায় ৬ হাজার নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে।
তিনি দুঃখ করে বলেন, ’৭৫ এর পর দীর্ঘ সামরিক শাসনের কারণে বাংলাদেশের মানুষকে বারবার গণতন্ত্রের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তখনকার সামরিক শাসকেরা নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশন আগামী সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নিলস অ্যানেনকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। কারণ বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রণীত ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরীতা নয়’ নীতি অনুসরণ করে।
প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান শেখ হাসিনা।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে অ্যানেন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে জার্মানি। কারণ এটা বাংলাদেশের ওপর বিরাট চাপ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা বিষয়ে বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে অ্যানেন বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণের বিষয়ে জার্মানির দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে এবং এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে।
ই-পাসপোর্ট চালুর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অবহিত করেন জার্মান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এমইউএম/এইচএ/