বুধবার (১৮ জুলাই) দুপুরের দিকে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আফরোজা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।
মামলা ও আদলত সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার পরানপুর গ্রামের এক দিনমজুরের পাঁচ বছরের মেয়ে ৮৬ নম্বর পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়তো। ২০০৩ সালের ৬ মার্চ স্কুল শেষে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সহপাঠী ময়না ও টুম্পার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে যে স্কুল শেষে তাকে খালা পরিচয়ে এক নারী মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
পেরে ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল করিম মাইকিং করার ব্যবস্থা করেন। রাত ১০টার দিকে বৈশখালি গ্রামের লোকজন আফরোজাকে আটক করলেও কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুকে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া শিশুর দাদা বাদী হয়ে আফরোজা খাতুন, রতনপুর গ্রামের বাবু, বাবলু ও আবু হান্নানের নাম উল্লেখ করে পরদিন শ্যামনগর থানায় একটি পাচারের মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল জামান এজাহারভুক্ত আসামিদের নামে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেন।
বুধবার এ মামলায় ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে আসামি আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তবে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিন জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আসামি আফরোজা পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
জিপি