জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উৎসব উদযাপন করবে।
বুধবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য সচিব আবদুল মালেক ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক উৎসব হবে জানিয়ে নূর বলেন, যেসব জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সেসব বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
উৎসবে স্থানীয় শিল্পীরা রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, আধুনিক ও দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি, একক অভিনয়, পল্লীগীতি, লালনগীতি, লোকগীতি, জারি, সারি, মুর্শিদী গান ছাড়াও আঞ্চলিক গান পরিবেশন করবেন।
নূর বলেন, সাংস্কৃতিক উৎসব সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আরও বিকশিত হবে এবং কিশোর-তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হবে।
এ উৎসবের মধ্য দিয়ে সরকারের জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জনগণকে জানানো হবে বলে জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই দিনব্যাপী ‘সাংস্কৃতিক উৎসব’ আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগসমূহ- একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, আশ্রয়ণ প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষার ওপর নির্মিত বিভিন্ন ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। একইসঙ্গে সরকারের জনকল্যাণ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ওপর ভিডিও তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ