ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘মিডিয়ায় আসা অনিয়মের বিষয় আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
‘মিডিয়ায় আসা অনিয়মের বিষয় আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যেসব অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, সেসবের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান করছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। 

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অজস্র প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির অবৈধ অর্থনৈতিক লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত লাখো নথি ফাঁস করে পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস।

সেখানে বাংলাদেশের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও আসে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যমে আসা অনিয়মের বিষয় আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না, উপেক্ষা করতে পারি না। পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসের ঘটনাও তেমন। বিষয়টি আমরা অনুসন্ধান করছি। সত্যটা আমাদের ও আপনাদের সবাইকে জানতে হবে। ’

পানামা পেপারসে নাম না থাকা সত্ত্বেও দুদক ডেকে হয়রানি করছে, এমন অভিযোগের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি আমি বলতে পারবো না। অনুসন্ধানী কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। আপনারা অনুসন্ধানী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানতে পারবেন।

‘এখানে অর্থপাচার হয়েছে কি-না বা কারও সম্পত্তি অবৈধ কি-না, আমার মনে হয় সবার জানা দরকার। আমরা কাউকে হেনস্তা করছি না। আমার মনে হয়, আমাদের সবার জানার অধিকার রয়েছে। ’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা চাই সত্য উদঘাটিত হোক এবং দেশের সবকিছু আইন অনুযায়ী চলুক। আমাদের সংবিধানে মানা করে দিয়েছে, আপনি অবৈধ সম্পদ অর্জন কিংবা ভোগ করতে পারবেন না।  

দুদক একটি ‘অ্যাসেট রিকভারি ইউনিট’ করেছে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বলেন, অনেক চলমান অবৈধ সম্পত্তির মামলায় দুর্ভাগ্যক্রমে ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর মামলা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ওই সম্পদ ঠিকই রয়ে যায়। এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা এই ইউনিট গঠন করেছি। যে কোনো অবৈধ সম্পদের বিষয়ে দুদকের কর্তব্য আছে।

এদিকে প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ইন্ট্রিডিপ গ্রুপের পরিচালক ফারহান ইয়াকবুর রহমানকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের উপ-পরিচালক আখতার হামিদের নেতৃত্বে একটি টিম।

এর আগে গত ৮ জুলাই দুদকের পক্ষ থেকে ইয়াকবুর রহমান এবং এক বিদেশিসহ তিন ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার তলব করা হয়। অন্য দু’জন হলেন উইং লিমিটেডের পরিচালক এরিক জনসন আনড্রেস উইলসন ও ফেলকন শিপিংয়ের মাহতাবা রহমান।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, ইয়াকবুর জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হলেও আসেননি আনড্রেস উইলসন ও মাহতাবা রহমান। কারণ তাদের যে ঠিকানায় তলবের চিঠি পাঠানো হয়েছিল, সে ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত সোমবার (১৬ জুলাই) পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ইউনাইটেড গ্রুপের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারা হলেন— গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান রাজা, গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মাল্টি ট্রেড মার্কেটিং লিমিটেডের পরিচালক খন্দকার মঈনুল আহসান, আহমেদ ইসমাইল হোসেন ও আকতার মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
আরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।