ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
‘কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি’ টিএসসির শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফাসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ( ঢাবি): কোনো ধরনের ইন্ধন নয় বরং কোটা ব্যবস্থা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা যখন ছাত্রলীগের আক্রমণের শিকার হলো তখন তাদের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শহীদ মিনারে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক খান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্য সামিনা লুৎফা বলেন, কোটা ব্যবস্থা সংস্কার আন্দোলন শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইচ্ছামতোই করেছেন। কিন্তু যখন তারা ছাত্রলীগের আক্রমণের শিকার হলো, তখন শিক্ষক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। কোটা ব্যবস্থা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যখন হামলা হয়েছে, তখন আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমরাও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি। আমাদেরকে বিভিন্ন ব্লেম দেওয়া হয়েছে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরাই শুধু নয়, আমরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

ফাহমিদুল হক বলেন, শহীদ মিনারে সমাবেশের পরে হামলার বিষয়ে আমরা যখন প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তখন আমাদেরকে বলা হলো আমরা কেন সমাবেশ করার আগে অনুমতি নিলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩’র অধ্যাদেশের কোথাও ক্যাম্পাসে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি নিতে হবে? এমনটা বলা আছে বলে মনে হয় না।

তানজীম উদ্দিন খান বলেন, শিক্ষার্থীরা স্বাধীন। তাই তারা ইচ্ছে মতো ক্লাস করবে, যার ইচ্ছা হবে না, সে করবে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। তাদের ক্লাস বর্জনে আমরা কোনো সমর্থন বা ইন্ধন দিচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে ড. সামিনা লুৎফা নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলো-আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষকদের সংহতি সমাবেশ, ২৩ জুলাই কলাভবনের সামনের বটতলায় নিপীড়নবিরোধী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কাছে শিক্ষক লাঞ্ছনার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অবিলম্বে পত্র প্রেরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্বতা রক্ষা, অ্যাকাডেমিক মান সমুন্নত রাখা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের কাছে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের উদ্যোগে শিগগিরই স্মারকলিপি পেশ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad