সোমবার (১৬ জুলাই) প্রজ্ঞাপনের কপি তালতলী উপজেলা পরিষদে এসে পৌঁছায়।
এর আগে চলতি মাসের (৮ জুলাই) ২০১৮ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব আঞ্জুমান আরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উপজেলা চেয়ারম্যানকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুর বিরুদ্ধে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী তোফায়েল হোসেন, বড়বগী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন মধু, ছোট অংকুজানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুন্দর আলী, তালতলী সিনিয়র মাদ্রাসার দপ্তরি মো. শাহজাহান মিয়া, আরডিএফ’র চেয়ারম্যান উসিত মং, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হাওলাদার, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. খালেককে মারধর ও লাঞ্ছিত করাসহ বেআইনিভাবে সরকারি জমি দখলসহ ১৬টি অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
মন্ত্রণালয় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৫টি অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর মন্ত্রণালয় অভিযোগের কারণ দর্শানোর নোটিশের প্রেক্ষিতে দাখিলকৃত জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করেন। পরে অভিযোগসমূহ গুরুতর হওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখিত বক্তব্যের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণাদিসহ সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য মিন্টুকে অনুরোধ করা হয়। ওই উপজেলা চেয়ারম্যান অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণাদি ব্যাখ্যা না করায় পুনরায় মিন্টুর শুনানি গ্রহণ করেন। দ্বিতীয়বার মিন্টু জবাব দাখিল করলেও কোনো তথ্য প্রমাণাদি দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় মনে করেন। তার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী তাকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এ বিষয়ে অপসারণকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনের প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। কোনো অভিযোগই সত্য ছিল না। আমি উচ্চ আদালতে রিট করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
এসআরএস