প্রথম দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রোবাবার (১৫ জুলাই) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. আফতাবুজ্জামান দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বিকেলে প্রবীর ঘোষের বন্ধু পিন্টু সাহা ও তাদের কর্মচারী বাপেন ভৌমিককে আফতাবুজ্জামানের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে তিনি পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে গত শনিবার (১৪ জুলাই) আসামি পিন্টু সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন-অর্থ, বন্ধকী স্বর্ণালংকার ও দোকান আত্মসাতের পরিকল্পনায় এবং ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তিনি নিজ বন্ধু প্রবীরকে হত্যা করেছে। প্রবীরকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সাত টুকরো করা এবং হত্যার আলামত গুম করার আদ্যোপান্ত তুলে ধরে।
এরআগে নিখোঁজের ২১ দিন পর সোমবার (৯ জুলাই) রাত ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার চারতলা ভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের সাত টুকরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘাতক পিন্টু ওই বাড়ির দুই তলার একটি ফ্লাটে বসবাস করতেন।
গত ১৮ জুন রাত থেকে প্রবীর নিখোঁজ ছিলেন। তার সন্ধান দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ কালিরবাজার স্বর্ণপট্টির ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক ভোলানাথ ঘোষের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
ওএইচ/