রোববার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ইলিশা ঘাটেই আটকে ছিলো কুসুমকলি ও কনকচাঁপা নামের দু’টি ফেরি। এসময় উভয় পাড়ে দেড় শতাধিক পরিবহন আটকে থাকে।
অপেক্ষাকৃত নিচু স্থানে ঘাট নির্মাণের কারণে পন্টুন, এপ্রোস সড়ক ও র্য্যম সামান্য জোয়ারে তলিয়ে যায় বলে অভিযোগ ফেরি কর্তৃপক্ষের।
তাদের অভিযোগ, দুইদিন ধরে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট জোয়ারে ডুবে যাওয়ায় প্রতিদিন ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। রোববারও ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে ঘাটে দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা।
এদিকে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী যানবাহন। ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পারাপার হতে পারছে না পরিবহনগুলো। গত দুইদিন ধরে জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে ফেরি চলছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলা অংশে অর্ধশতাধিক ও লক্ষ্মীপুর অংশে শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে ভোলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস। এ রুটে কৃষাণী, কনকচাঁপা ও কুসুমকলি নামের তিনটি ফেরি চলছে। গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে জোয়ারের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও দীর্ঘদিনেও ঘাট মেরামত না করায় জীর্ন দশায় পরিণত হয়েছে ঘাট।
ফেরির ইনচার্জ ইমরান খান বলেন, ঘাটটি উঁচু না থাকায় জোয়ারে ডুবে যায়, তখন ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এতে ফেরি ট্রিপ কমে গেছে, ফলে লাইনজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লটিএ সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইলিশা ঘাটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই সমস্যা সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
আরএ