রোববার (১৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত রবার্ট এফ কেনেডি হিউমান রাইটস অ্যাডভোকেসি অরগানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডিকে একথা বলেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার সঙ্গে কেরি কেনেডির সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার সংলাপ চালিয়ে গেলেও বাস্তবে তার কিছুই করছে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সংকটের সমাধান চাই বলে মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ চালাচ্ছি। কিন্তু মিয়ানমার সব কিছুতে রাজি থাকলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাস্তবে তারা কোনো কিছুই করছে না।
আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশের জন্য বিরাট বোঝা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষ তাদের চাষাবাদের জমি, গাছপালা, বনভূমি হারিয়ে ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ তাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে।
বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের আইডেনটিটি কার্ড দেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের একটা অংশকে অপেক্ষাকৃত ভালো আশ্রয় দিতে ভাসানচরকে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
কেরি কেনেডি বলেন, জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে বাংলাদেশে এসেছি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কোনো বাড়ি-ঘর বা অবকাঠামো এখনও নির্মাণ করা হয়নি।
কেরি কেনেডি বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনে নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রশংসা করেন কেরি কেনেডি।
সাক্ষাতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ও অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান।
**জনগণ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না হই: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এমইউএম/এএ