তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হতে যথেষ্ট সময় লাগবে। তবে রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরে পাওয়া ও নিজ ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ক্ষেত্র ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে।
রোববার (১৫ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে আইওএম মহাপরিচালক সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আনান কমিশনের রিপোর্ট, জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমারের সমঝোতা স্মারক সই ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে অগ্রগতির প্রাথমিক ধাপ। জাতিসংঘের অন্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম সংযুক্ত থাকবে।
আইওএম মহাপরিচালক এসময় আরও বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চলতি বর্ষায় রোহিঙ্গাদের ঝুঁকি থেকে নিরাপদে রাখা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় পাহাড়, পরিবেশ ও জনগণ যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
মিয়ানমার অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পুনর্মিলনে আইওএমের সফলভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি মিয়ানমারকেও এক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
আইওএম মহাপরিচালক হিসেবে বাংলাদেশে তার সবশেষ সফরে তিনি আইওএমের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র, শরণার্থীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প উন্নয়ন কাজ, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় মা ও শিশুদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চিকিৎসা সেবার খোঁজ-খবর নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
টিটি/এএ