চিথলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুনা লাইলা বলেন, শিশু দেব দত্তের অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শিক্ষার্থীদের মনে একটা ভয় কাজ করছে। অনেক বাচ্চারা স্কুলে আসতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, শিশু দেব দত্ত এই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিলো। অপহরণের পর থেকে ওই ক্লাসের শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে ভয় পেতো। আমরা অভিভাবক সমাবেশ, মা সমাবেশ, মাইকিং এবং বিভিন্নভাবে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে আতঙ্ক দূর করেছি। রোববার বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে দেবের সেকশনে ৬৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৩ জন উপস্থিত ছিল। তবে কয়েকদিন পরে এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
অপহরণ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকের সঙ্গে স্কুলে আসছে। আবার ছুটির সময় অভিভাবকরা তাদের নিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী পলাশ জানায়, আমার খুব ভয় লাগে। কেউ যদি আমাকে ধরে নিয়ে যায়। তাই আমার দাদী আমাকে প্রতিদিন স্কুলে রেখে যায়, আবার ছুটি হলে নিয়ে যায়।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদের বাবা আজিম মালিথা বলেন, দেব অপহরণের এক মাস পার হয়ে গেছে। বাচ্চারা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তবে আমাদের মনে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই আমার ছেলেকে রোজ স্কুলে রেখে যাই এবং নিয়ে যায়।
এছাড়া তাকে বলেছি অপরিচিত কেউ ডাকলে কাছে না যেতে। কেউ কিছু দিলে না খেতে। কেউ মোবাইল ফোনে গেম খেলা দেখালে তা না দেখতে।
তিনি আরো বলেন, শিশু দেবের মতো এ ঘটনা যেন আর কারো না ঘটে।
গত রোববার (০৮ জুন) দেব দত্ত প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের রাস্তা থেকে মোটরসাইকেলে করে দুবৃত্তরা এসে দেব দত্তকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর অব্যাহত তৎপরতায় ২৫ জুন দুপুরে বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
আরএ