ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চাকরি স্থায়ীর দাবিতে গ্রামীণ ব্যাংক কর্মীদের অবস্থান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
চাকরি স্থায়ীর দাবিতে গ্রামীণ ব্যাংক কর্মীদের অবস্থান গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মীদের কর্মসূচি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ব্যাংকটির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।

রোববার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর-২ নম্বরে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা।  

এ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের নওগাঁর ধুবলহাটি শাখার কর্মচারী সাইফুল ইসলাম সুইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের উজ্জীবিত করছেন।

‘মা জননী হাসিনা, ক্ষুধার জ্বালায় বাঁচি না। ’ ‘আমাদের দাবি- আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে। ’

২০০৪ সাল থেকে সাইফুল ইসলাম গ্রামীণ ব্যাংকে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করে শুরু করেন। তিনি বলেন, নিয়োগের সময় তাদের মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল পর্যায়ক্রমে চাকরিতে স্থায়ীকরণ করা হবে।

১৯৯২ সালের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি কোনো দৈনিক হাজিরার কর্মচারীকে স্থায়ীকরণ করেনি বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় প্রায়  তিন হাজার কর্মচারী রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের দাবি চাকরিতে স্থায়ীকরণ করতে হবে।

নওগাঁ সাপাহার শাখার রফিকুল ইসলাম ১৯৯৭ সালে পিয়ন কাম-গার্ড হিসেবে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করেন। প্রতিদিন ৩৫ টাকা হাজিরাতে কাজ শুরু করেন তিনি। সর্বশেষ ৪০০ টাকা হাজিরাতে কর্মরত রয়েছেন।

রফিকুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ২০০৭ সাল থেকে চাকরি স্থায়ী করার দাবি করে আসছি। তখন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ড. মো. ইউনুস। তখনকার প্রশাসন অনেক কড়া ছিল। আমরা আন্দোলন করতে চাইলে চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখাতো। আর দাবি তুললেই তখন বলা হতো ছাঁটাই করা হবে। দীর্ঘদিন ভয়ে কথা বলিনি। এরপর কয়েক মাস আগে আবারও দাবি আদায়ে আন্দোলন করি তখন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বলা হয়েছিল তিন মাসের মধ্যে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করবেন। এরপর তিনমাস পার হয়েছে আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো কথা বলছে না কর্তৃপক্ষ।

আন্দোলনকারী আব্দুল আজিজ নামে অপর কর্মচারী বলেন, 'আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাবো না। আমরা এখান থেকে গেলেও আমাদের আর চাকরিতে নেবে না। তাই রাস্তায় নামছি। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে মারা যাবো, তাবুও এ জায়গা ছাড়বো না। '

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এসএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।