শনিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে ঘাতক পিন্টুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতকে পিন্টু আরো বলেন, কালীরবাজার এলাকায় স্বর্ণ মার্কেটে ‘পিন্টু স্বর্ণালয়’ নামের একটি দোকান রয়েছে। কয়েক মাস আগে প্রবীরের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে এ দোকানের পজিশন কেনেন তিনি। কিন্তু দুই মাস ধরে পিন্টুর কাছে টাকা চাইছিলেন প্রবীর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে প্রবীরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন পিন্টু।
‘আর এ জন্য বেছে নেওয়া হয় ঈদের ছুটির সময়টাকে। হত্যাকাণ্ডের পর ঘাতক পিন্টু তার দোকানের কর্মচারী বাপেন ভৌমিক বাবুর কাছে প্রবীরের সিমকার্ড দিয়ে কুমিল্লা থেকে নারায়ণগঞ্জে কয়েকজনের কাছে ম্যাসেজ পাঠান, যাতে বিষয়টি ভিন্ন খাতে গড়ায় এবং তিনি রক্ষা পেয়ে যান। ’
জবানবন্দিতে পিন্টু জানান, তিনি স্বর্ণের দোকানের একজন কর্মচারী থেকে দোকানের মালিক হওয়ার বিষয়টি প্রবীর মেনে নিতে পারতেন না। বন্ধুত্বের সুবাদে বিপদে-আপদে অর্থ দিয়ে সহায়তা করলেও প্রায়ই নানা বিষয় নিয়ে তাকে কটাক্ষ করতেও ছাড়তেন না প্রবীর। সম্প্রতি প্রবীর তাকে নারী ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার হুমকিও দেন।
‘সেই ক্ষোভ থেকেই প্রবীরকে হত্যা করে অর্থ, বন্ধকী স্বর্ণালংকার ও দোকান আত্মসাতের চিন্তা করি। এই চিন্তা থেকেই নিজ বন্ধুকে সাত টুকরো করে হত্যা করেছি তাকে,’ বলেন ঘাতক পিন্টু।
গত ৯ জুলাই নিখোঁজের ২১দিন পর শহরের আমলপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার ৪ তলা ভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ১৮ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন প্রবীর। নিহত প্রবীর ঘোষ কালীর বাজার স্বর্ণপট্টির ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক ভোলানাথ ঘোষের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
এমএ /