এরপর দুপুর দেড়টায় ঢাকা থেকে পারাবত এক্সপ্রেস থামলো স্টেশনে। ট্রেন থেকে একজন নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সবাই ঘিরে ধরে ভিআইপির মযার্দায় বরণ করে সেখান থেকে রেস্ট হাউজের উদ্দেশে রওনা দেয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, জিএম ওমর ফারুক একদিনের জন্য সিলেট রেলওয়ে পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি আসবেন বলে পুরো রেলস্টশনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে।
সূত্র জানায়, রেলস্টশনে অসংখ্য পরিচ্ছন্নকর্মী থাকলেও তারা কোনো কাজ করে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে উদাসীন।
স্টেশনের পশ্চিম পাশে ১০/১৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী রেলের উপরে ঘাস, আগাছা পরিষ্কার করছেন। তাদের কাছে পরিষ্কারের কারণ জানতে চাওয়া হলে বলেন, ভাই কথা বলার সময় নাই। স্যার আসছেন।
এ সময় স্টেশনে দাঁড়ানো হোসেন নামে এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, সব সময় যদি স্টেশনটি এমন পরিষ্কার থাকতো তাহলে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারতো। কিন্তু স্টেশন কর্তৃপক্ষ বছরে একবারও পরিষ্কার করে না। স্টেশনের চারপাশে সব সময় নোংরা আর্বজনা থাকে।
ঢাকাগামী পারারত এক্সপ্রেসের আরেক যাত্রী হাসান আল বান্না বাংলানিউজকে জানান, ভাই কিতা কইমু, আমরার কফাল খারাপ। সিলেটর অতো ভিআইপি থাকতেও স্টেশনটি হকল সময় নোংরা থাহে। দেকবার কেউ নাই। আইজ অত সুন্দর কিতার লাগি তা বুঝরাম না।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এছাড়া স্টেশন ম্যানেজার কাজী শহিদুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সিলেট রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ ইন্সপেক্টর নূর মোহাম্মদকে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
এনটি