শনিবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় ভারতীয় এই ভিসা সেন্টার উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশে সফররত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন যমুনা ফিউচার পার্কে ভিসা সেন্টারটি স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে এই ভিসা কেন্দ্রের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক সব-সুবিধা থাকবে এই ভিসা কেন্দ্রে। এটি একটি অনন্য উদ্যোগ বলেও তিনি জানান।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সে কারণে ভারতীয় ভিসা যেন সহজেই মানুষ পেতে পারেন সেজন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
শনিবার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় যৌথভাবে যমুনা ফিউচার পার্কে নতুন, সমন্বিত ও অত্যাধুনিক ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব (সীমান্ত ব্যবস্থাপনা) ব্রজরাজ শর্মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মতিঝিল ও উত্তরায় অবস্থিত ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো ১৫ জুলাই ২০১৮ থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে নতুন ভিসা আবেদন কেন্দ্রে প্রতিস্থাপিত হবে। বাকি দু’টি ভিসা আবেদন কেন্দ্রও (গুলশান এবং মিরপুর রোড) ৩১ আগস্ট ২০১৮ এর মধ্যে নতুন ভিসা আবেদন কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হবে। এরপর থেকে ঢাকায় এটিই হবে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাতকার সূচি ছাড়াই সব শ্রেণীর ভিসা আবেদনের জন্য একমাত্র ভিসা আবেদন কেন্দ্র।
ভারতের নতুন ভিসা আবেদন কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে (মুক্তিযোদ্ধা বিভাগ) পাঁচ বছর মেয়াদি মাল্টিপল এন্ট্রি ভ্রমণ ভিসা দেওয়া হয়। অমল চন্দ্র নট্টকে (জ্যেষ্ঠ নাগরিক বিভাগ) পাঁচ বছর মেয়াদি মাল্টিপল এন্ট্রি ভ্রমণ ভিসা দেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জান্নাতুল ফেরদৌসকে এক বছর মেয়াদি মাল্টিপল এন্ট্রি ভ্রমণ ভিসা দেন ভারতীয় হাই কমিশনার এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব (সীমান্ত ব্যবস্থাপনা) বেগম শরিফাকে (চিকিৎসা করতে বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন) ছয় মাস মেয়াদি ট্রিপল এন্ট্রি মেডিকেল ভিসা হস্তান্তর করেন।
১৮ হাজার ৫০০ বর্গফুট বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত এই ভিসা আবেদন কেন্দ্রে থাকবে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত টোকেন ভেন্ডিং মেশিন (প্রত্যাশিত প্রতীক্ষা সময় নির্দেশিত হবে), আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অপেক্ষা করার স্থান, কফি এবং কোমল পানীয় ভেন্ডিং মেশিন, খাবার দোকান ও আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৪৮টি কাউন্টার। জ্যেষ্ঠ নাগরিক, নারী, মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায় ভিসা আবেদনের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে। একটি বিশেষ সহায়তা ডেস্ক এবং প্রিন্টিং, ফটোকপি ইত্যাদি সেবাগুলোর জন্য কাউন্টার থাকবে যেখানে মূল্য পরিশোধ করে সেবাগুলো পাওয়া যাবে। একটি প্রশস্ত এবং নিরাপদ বিপনি কেন্দ্রে নতুন ভিসা আবেদন কেন্দ্র হওয়ায় আবেদনকারীদের আরামদায়ক ও নিরবচ্ছিন্ন ভিসা সেবা প্রদান সম্ভব হবে এবং আবেদনের জন্য অপেক্ষা করার সময়ও কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
টিআর/জেডএস