এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে (স্ত্রী) ফারজানা আক্তার(২০)ও তার মা (শাশুড়ী) শহরজান বেগম বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর কালিয়াকৈর লতিফপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ফারজানা-আলামিন তাদের পাঁচ মাসের সন্তান আবিরকে নিয়ে ওই এলাকায় ভাড়া করতেন। আলামিন মটর মেকানিকের কাজ করতেন। আলামিন দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিলেন।
দগ্ধ ফারজানা বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) রাতে বাসার ফ্রিজের উপরে গাঁজা দেখে আলামিনকে মাদক নিতে মানা করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে আলামিন নিজেই তার শ্বশুর আয়নাল হক ও শাশুড়ী শহরজানকে বাসায় আসার জন্য খবর দেন। সকালে শ্বশুর- শাশুড়ী বাসায় আসেন। পরে কয়েকজনকে মিলে আলামিনকে মাদক না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এ সময় আলামিন ক্ষিপ্ত হয়ে তরলদ্রব্য তার স্ত্রীর মুখে ছুড়ে মারলেন ফারজানা মুখ ফিরিয়ে নেয়। তখন তরলদ্রব্য ফারজানার পিঠে লেগে ঝলসে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তার মা শহরজান তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার হাতের কিছুটা অংশ পুড়ে যায়। পরে তাদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও বিকেলের দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ফারজানার পিঠের কিছু অংশ ও তার মায়ের হাতে সামান্য এসিডে ঝলসে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এজেডএস/এএটি