ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিএসএফের বুলেটে শিশুর চোখ অন্ধ হওয়ার ঘটনায় তদন্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
বিএসএফের বুলেটে শিশুর চোখ অন্ধ হওয়ার ঘটনায় তদন্ত

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গার বালাতারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) রাবার বুলেটের আঘাতে শিশু রাসেল মিয়া (১৪) গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রাম কালেক্টরেটের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বাদল চন্দ্র হালদার তদন্ত শুরু করেন। জাতীয় মানবাবিধার কমিশনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে এই তদন্ত।



আহত শিশু রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তদন্ত শুরুর সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ গোরকমন্ডপ ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল কুদ্দুস, বালারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলওয়ার হোসেন প্রমুখ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বালাতারী নোয়াকালীটারী গ্রামের দিনমজুর আব্দুল হানিফের ছেলে স্কুলছাত্র রাসেল বিএসএফের ছোড়া রাবার বুলেটের স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক সুস্মিতা পাইক কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের বরাবর অভিযোগ তদন্তের আবেদন করেন।

আহত রাসেলের বড় ভাই রুবেল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট জেনারেল সেক্রেটারি রাজেশ চন্দ্র রায় তার অফিসে ডেকে নিয়ে জানিয়েছেন রাসেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য সব ধরনের খরচ বহন করবে ভারতীয় হাইকমিশন। তাই তারা ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার গোড়কমন্ডল সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৩০/৮ এর পাশে বাংলাদেশের ২০ গজ অভ্যন্তরে রাসেল বন্ধুদের সঙ্গে গরুর ঘাস কাটতে গেলে ৩৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়েন। এতে অন্যরা অক্ষত থাকলেও রাসেলের মুখমন্ডলে বুলেটের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রাইম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু, বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একমাস চিকিৎসা শেষে গত ১ জুন রাসেলের ডান চোখটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে সে বাড়িতে ফিরে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।