গত কয়েকদিন আগে দুই যুবক মোটরসাইকেলে এসে নির্বাচন অফিসের পরিচয় দিয়ে বদলগাছি উপজেলার হাজীপুর গ্রামে স্মার্টকার্ড দেওয়ার কথা বলে ওই গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি নিয়ে যায়।
নির্বাচন অফিসের লোক ভেবে গ্রামবাসী তাদের কাছে সব তথ্যই সরবরাহ করে।
হাজিপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন, তসলিমা বেগম, মাজেদুল ইসলামসহ গ্রামের বেশ কয়েকজন বাংলানিউজকে জানান, ‘গত ২৮ জুন দুই যুবক গ্রামে এসে নির্বাচন অফিসের পরিচয় দিয়ে তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও নাম-ঠিকানা নিয়ে যান। তারা তিন দিন এ গ্রামে এসব তথ্য সংগ্রহ করেন। তৃতীয় দিন অর্থাৎ ৩০ জুন বিষয়টি সন্দেহ হলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে খবর দেওয়া হয়। পরে নির্বাচন অফিসের লোকজন আসার আগেই ওই দুই প্রতারক পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে একজনের নাম ও মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। (মামুন- ০১৯০৩ ৫৫৬৫২৭) পালিয়ে যাওয়া পর থেকে ওই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ’
বদলগাছি উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) ইয়াদ আলী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ‘দুজন ব্যক্তি তিনদিন ধরে তথ্য সংগ্রহ করেছে। কিন্তু গ্রামবাসী তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি আমাকে জানায়নি। শেষ দিনে গ্রামবাসী বিষয়টি জানালে সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেই। কিন্তু আমরা সেখানে যাওয়ার আগেই ওই দুই প্রাতারক পালিয়ে যায়। ’
জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ও প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে বুধবার (১১ জুলাই) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বদলগাছি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিউদ্দিন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, ওই গ্রামের ঘটনাটি শুনেছি। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের এনআইডি-ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিলো কারা? আমাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না। ঘটনাটির পর এরইমধ্যে জনগণকে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিটি গ্রামে মাইকিং করা হয়েছে।
বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে দেরিতে হলেও এলাকাবাসী থানায় জিডি করেছে। পুলিশ ওই দুই যুবককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
জিপি