বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) জুবায়েরের পক্ষে রিটানিং কর্মকর্তার দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাফিজ আব্দুল হাই হারুন। অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরান ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী আচরণ বিধি লংঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
একই সঙ্গে সরকারী দলের প্রার্থীর লোকজন কর্তৃক এডভোকেট জুবায়েরের টেবিল মার্কার প্রচারণায় নিয়োজিত কর্মীদের হুমকী ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
মাইক ব্যবহারের সংজ্ঞা ও সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে গত বুধবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত ১০ টা পর্যন্ত সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২নং গেইটের সম্মুখে একাধিক হরণ ব্যবহার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জনজীবন বিপর্যস্ত হবে।
পোষ্টার/ব্যানার ব্যবহারের নীতিমালা থাকলেও নৌকার প্রার্থী প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় নির্ভানা ইন-এ এবং ধানের শীষের প্রার্থীর প্রধান কার্যালয় কাজী টুলাস্থ মিতা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বৃহদাকার ব্যানার ঝুলানো হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী কর্তৃক টেবিল প্রতীকের প্রচারণা কাজে নিয়োজিত কর্মীদেরকে নগরীর ২৭নং ওয়ার্ড, ৭নং ওয়ার্ডের নুরানী আবাসিক এলাকা, ৬নং ওয়ার্ডের বাদাম বাগিচা, ১৯নংওয়ার্ডের টিবি গেইট এলাকায় হুমকী-ধামকী ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এছাড়াও উপরোল্লিখিত স্থান সমুহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী কর্তৃক টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রচারণায় নিয়োজিত কর্মীদের তালিকা সংগ্রহ এবং গ্রেফতারের হুমকী প্রদান করা হচ্ছে। যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লংঘন।
বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য রিটানিং কর্মকর্তার প্রতি আহবান জানান অ্যাডভোকেট জুবায়েরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাফিজ আব্দুল হাই হারুন। নির্বাচন কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে খোজঁ নিয়েব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘন্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
এমএমএস