ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় আতঙ্কে সুনামগঞ্জবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় আতঙ্কে সুনামগঞ্জবাসী সুরমা নদী। ছবি: বাংলানিউজ

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ জেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুরমা নদী। বর্ষা এলে সেই নদীতে পানি ভরে শহরের মধ্যে ঢুকে পড়ে সৃষ্ট হয় বন্যার। বিশেষ করে শহরের নিচু এলাকা উত্তর আপিন নগর, বড় পাড়া, তেঘরিয়া, নবী নগরে দ্রুত বন্যার সৃষ্ট হয়। আর এজন্য মূলত দায়ী শহর রক্ষা বাঁধ না থাকা। 

সুনামগঞ্জ শহরের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ। অল্প বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের কারণে যেকোনো সময় বেড়ে যায় সুরমার পানি।

কিন্ত শহর রক্ষা বাঁধ দূরে থাকায় সুরমার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙনই এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে মেরামত করা হয় নি। সুনামগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট ভেঙে প্রায় বিলীনের পথে। সেখানে নামে মাত্র বালি-সিমেন্ট মিশিয়ে কিছু বস্তা ফেলে রাখা হয়েছে। সেখানেও ভাঙন অব্যাহত আছে।

বাঁধ না থাকার কারণে বর্ষার সময় আতঙ্কে থাকে সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দারা। কারণ কিছু দিন আগেও ভারতের পাহাড়ি ঢল ও প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে শহরের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছিল। পরে পানি বৃদ্ধি কমার ফলে সেই আতঙ্ক থেকে শহরবাসী মুক্তি পান ।  

বড়পাড়া এলাকার খাইরুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি হলেই সুরমা নদী ভরে গিয়ে পানি বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে। দ্রুত শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সুনামগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট।  ছবি: বাংলানিউজ
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বাঁধ নির্মাণ করার কোনো পরিকল্পনা নেই পাউবো’র। তবে নদীর তীরে কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেগুলো মেরামত করা হবে। পৌরসভার মেয়র বাঁধ নির্মাণে জন্য আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সেটি যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প ঢাকায় পাঠানো হবে। পরে সেই অনুযায়ী যদি ফান্ড আসে তাহলে কাজ করা যাবে। না হলে এখন এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব না।

এদিকে পৌর মেয়র নাদের বখত বাংলানিউজকে বলেন, শহর রক্ষা বাঁধের ব্যাপারে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিংয়ে বলেছি। বাঁধ তৈরি করা পৌরসভার কাজ না। এটি মূলত পাউবোর কাজ। ইতোমধ্যে ঢাকায় একটি প্রকল্প পাঠিয়েছি। তবে কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad