ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কোটার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
কোটার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখুন সংসদে রওশন এরশাদ

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। তারা তো আমাদের সন্তান। তারা তো আবদার করবেই। তারা তো চাকরি চাইবে। তাদের চাকরিতে যেমন করে হোক, প্রোভাইড করতে হবে। চাকরি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সচেতন আছেন। চেষ্টা করছেন। স্পিকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, তিনি যেন সহানুভূতির দৃষ্টি নিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে একথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। এসময় তিনি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উত্তীর্ণ করার দাবি জানান।


 
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন। তিনি দেশকে ভালোবাসেন,জাতিকে ভালোবাসেন। তিনি এটা পারবেন। তিনি না করে পারবেন না।  
 
‘সরকার জনগণের চাহিদা কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে, তা চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। আমরা বেকার যুবকদের চাকরি দিতে পারছি না। সংসদে আসলাম, বসে সময় কাটালাম, তাহলে তো হবে না।  

বিদেশে চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে রোগী দেখেন উলেøখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, এজন্য মানুষ বিদেশ যায়। বাইরের ডাক্তাররা অনেক বেশি আন্তরিকভাবে রোগী দেখেন। কিন্তু আমাদের দেশের চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে রোগী দেখেন না। এখানে তাড়াহুড়া করা হয়। অনেক সময় রোগী সম্পর্কে ডাক্তার জানতেই চান না। ওষুধের চেয়ে ডাক্তারের আন্তরিকতা বেশি প্রয়োজন। আন্তরিকতার ঘাটতির কারণে অনেকে বাইরে চলে যান।  

‘শিক্ষাব্যবস্থা সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারছে না। এটা যদি হয়, তাহলে দেশের শিক্ষার মান কোথায় গেছে। ’
 
রওশন এরশাদ বলেন, মাদকের ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। অনেক প্রভাবশালী লোক মাদকে জড়িয়ে পড়েছে। মাদকের ব্যবসা করছে। কর্মসংস্থানের অভাবে অনেকে মাদক ব্যবসায় জড়াচ্ছে।  

রাজধানীর যানজট প্রসঙ্গে রওশন বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী চলাচল করলে রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। রাস্তায় যানজট ছাড়তে ছাড়তে রাত হয়ে যায়। অন্য রাস্তায় যাওয়াই যায় না। বৃষ্টিতে সব রাস্তা ভাঙা। কেউ বলে না সাহস করে। এখানে যারা আছেন, সবাই জানেন। কিন্তু কারও সাহস নেই বলার। সবাই যানজটে নাকাল থাকেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রওশন বলেন, গত নির্বাচনে ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন করে আপনাদের দায়িত্ব দিয়েছি। সব সমস্যাগুলো তো আপনাকে দেখতে হবে। এই সমস্যাগুলো না দেখলে সরকারের ভালো কাজগুলো ফুটে উঠবে না।  আমি যত কথা বলেছি, সবই বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ছাড়বো না তো।  

বাজেটে প্রণোদনা নেই অভিযোগ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ব্যাংক লুটপাটকারীদের কর কমানো হয়েছে। ব্যাংক খাতে লুটপাট চলছে। মানুষের করের টাকায় দিতে হচ্ছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। ব্যাংকখাতের নৈরাজ্য বন্ধ করতে হলে সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। ১৬ লাখ মানুষ ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দিয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, যতবারই বলি প্রধানমন্ত্রী হেসে উড়িয়ে দেন। হেসে উড়িয়ে দেওয়ার কথা না। ডিজিটাল বাংলাদেশ কীভাবে গড়বেন? আবহাওয়া পর্যন্ত দূষিত। নদী ভালো রাখেনি। আবহাওয়ায় সীসা। এগুলো দেখতে হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।