বুধবার (১১ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিলে সংশোধনীসহ জনমত যাচাই ও বাছাই করার প্রস্তাব দিলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এছাড়া সংসদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০১৮ নামে অপর একটি বিলও কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, সাংবাদিকতা পেশা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কিন্তু হলুদ সাংবাদিকতা সমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সত্যিকারের সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক সত্য ঘটনা প্রকাশ করছেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই আমরা। ইলেকট্টনিক মিডিয়ার জন্য একটি নীতিমালা করেছি। সাংবাদিকদের অধিকার কতটুকু খর্ব হলো কিংবা হারালাম, সেটা এই বিলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা, উৎকর্ষতা বাড়াতে এই ইনস্টিটিউট একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করবে।
ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা বোর্ড থাকবে। বিশিষ্ট সাংবাদিদ, শিক্ষাবিদ বা জনসংযোগ দক্ষ ব্যক্তিবর্গের মধ্য থেকে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন ব্যক্তি এর চেয়ারম্যান হবেন। এতে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন করে কর্মকর্তা, প্রধান তথ্য অফিসার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান, সরকার কর্তৃক মনোনীত জাতীয় সংবাদপত্রের দুইজন সম্পাদক, ইলেকট্টনিক মিডিয়ার একজন প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দুজন প্রতিনিধি এই বোর্ডের সদস্য হবেন। মহাপরিচালক বোর্ডের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল, ২০১৮ বিল সংসদে পাস হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের ফলে আলোচ্য আইনটি ৮ বছরের পরিবর্তে ১১ বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এসএম/এসকে/এমজেএফ