বুধবার (১১ জুলাই) বিআরটিএ-এর ইকুরিয়া কার্যালয়ে আকস্মিক এ অভিযান চালানো হয়। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানান।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের হট লাইনে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস দিতে গিয়ে ঘুষ-লেনদেনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। তবে এ সময় ওই অফিসে অবস্থানরত দালালেরা পালিয়ে গেছে।
তবে সেখানে নানা অনিয়মের চিত্র পেয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক খায়রুল হুদার নেতৃত্বে পরিচালিত টিমের সদস্যরা।
দুদক জানায়, ২০০২ সালের আগের পুরাতন ও অচল হওয়া অসংখ্য তিন চাকার ছোট যানবাহন ‘মিশুক’কে বেআইনিভাবে সিএনজিকরণ প্রক্রিয়া চলছে। বিআরটিএ-এর ওই অফিসে আনা বেশকিছু মিশুকে ফেব্রিকেটেড চেসিস নম্বর লাগানো হয়েছে, যা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আনা হয়। দুদক টিম তাৎক্ষণিক এ বেআইনি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
অভিযানের সমন্বয়কারী ও দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বিআরটিএ-কে অবশ্যই দুর্নীতির কবল থেকে মুক্ত করে নির্বিঘ্ন সেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অফিস দালালমুক্ত না করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
আরএম/এমএ