মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দিনগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে উপজেলার বাহিমালি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। নিহত ওসমান উপজেলার গুরুমশইল গামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে।
র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, রাতে র্যাবের একটি টহল দল বাহিমালি মোড় থেকে ভাটুপাড়া গ্রামে যাওয়ার একশ’ গজ উত্তরে কাঁচা রাস্তার উপর টর্চের আলো এবং কিছু লোকের আনাগোনা দেখতে পায়। এ সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে টহল দল ওই স্থানের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছু লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের আত্মমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হলে তারা র্যাব লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে র্যাব পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে আনুমানিক ৫ মিনিট গুলিবিনিময়ের পর ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা একজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাকিরা পালিয়ে যান। এসময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন।
পরে আহত যুবককে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত র্যাবের দুই সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন, পিস্তলের গুলির খালি খোসা, সাদা পলিথিনের প্যাকেটে রক্ষিত বাদামি রংয়ের ৪১০ গ্রাম হেরোইন, নগদ এক হাজার চারশ’ দশ টাকা, চার্জার লাইট, দু’টি গ্যাস লাইট, মোবাইল ফোন, দু’টি ডার্বি সিগারেটের প্যাকেট এবং বিভিন্ন কালারের সাতটি স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়।
পরে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস নিহত যুবকের নাম ওসমান নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে জানান, তার বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। জেলার অন্যতম শীর্ষ মাদক বিক্রেতা হিসেবেও তার পরিচিত রয়েছে।
শিবলী মোস্তফা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ওসমান ও পলাতকরা মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ওই নির্জন স্থানে অবস্থান করছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮, আপডেট: ০৬৫৭
আরবি/