ঢাকা, সোমবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ডিএনসিসিতে ৫ লাখের বেশি শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৫৯, জুলাই ৮, ২০১৮
ডিএনসিসিতে ৫ লাখের বেশি শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

ঢাকা: সারাদেশের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনেও (ডিএনসিসি) শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১৪ জুলাই দেশজুড়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (প্রথম রাউন্ড) পালিত হবে। 

এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সারা দেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২,০০,০০০ আইইউ) খাওয়ানো হবে।  

এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিএনসিসি পাঁচটি অঞ্চলের আওতায় ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চালানো হবে।

ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে এ কার্যক্রমের সঙ্গে  সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
 
রোববার (০৮ জুলাই) ডিএনসিসির সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা,প্যানেল মেয়র সদস্য আলেয়া সরোয়ার ডেইজী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমদাদুল হক,সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ আলম, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মামুন প্রমুখ।
 
সভায় জানানো হয়, ডিএনসিসি এলাকায় ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৮২ হাজার ১৫ এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪৪ হাজার ৮২৩৫ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মোট ১ হাজার ৪৯৯ কেন্দ্রের (স্থায়ী কেন্দ্র ৪৯টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৪৫০) মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন চলবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে শিশুদের।  
 
এই কার্যক্রমে মোট স্বাস্থ্য কর্মী-স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন ২ হাজার ৯৯৮ জন; সেখানে প্রথম সারির সুপারভাইজার থাকবেন ১৮৩ জন আর তদারককারী থাকবেন ৬ জন। এ ছাড়া দ্বিতীয় সারির ১০৩ জন সুপারভাইজার এই কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
 
সভায় আরো জানানো হয়, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টি শক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে।  

ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দু’বার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এসএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।