সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ফুটপাত দখল করে লিচু ব্যবসায়ীরা জমজমাট ব্যবসা করছেন। জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানীয় বাজারগুলোতে লিচুর পসরা সাজিয়ে বসে আছে ক্রেতারা।
জেলা শহরের বনরূপা বাজার এলাকায় লিচু কিনতে আসা ব্যবসায়ী বজলু ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হলেও দাম বেশ চড়া। বিশেষ করে চায়না-৩ লিচুর দাম সবচেয়ে বেশি। তারপরও ছেলে-মেয়ে, পরিবারদের জন্য মৌসুমী ফল লিচু কিনতে হয়।
বনরূপা বাজার এলাকার আরেক ক্রেতা গৃহিনী শিল্পী আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, মৌসুমী ফল স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ার কারণে প্রতি বছর যত দাম হোক লিচু ক্রয় করি।
লিচু বিক্রেতা জাফর আলী বাংলানিউজকে জানান, রাঙামাটিতে লিচুর ব্যাপক চাষ হয়েছে। তবে লিচুর দাম কমছে না। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে ক্রয় করে জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়।
লিচু বিক্রেতা বদি মিয়া বাংলানিউজকে জানান, এ বছর লিচুর বাম্পার হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব লিচু জেলায় বাইরে রপ্তানী করা হচ্ছে।
রাঙামাটি কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ৮৭৬ হেক্টর জমিতে ৮ হাজার ৩০ মেট্রিক টন, ২০১৪ সালে ১৪৯১ হেক্টর জমিতে ১৩ হাজার ৬৭৩ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে ১৪৯৫ হেক্টর জমিতে ১৩ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন, ২০১৬ সালে ১৭৩০ হেক্টর জমিতে ১১ হাজার তিন মেট্রিক টন, ২০১৭ সালে ১৭৪২ হেক্টর জমিতে ১৩ হাজার ২৮৬ মেট্রিক টন এবং ১৮৪২ হেক্টর জমিতে ২৩ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর লিচুর ভাল ফলন হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি শাখার উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিশত চায়না-৩ লিচু ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে এবং দেশীয় লিচু পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। অন্যান্যবারের তুলনায় এ বছর লিচুর উৎপাদন যেমন বেশি হয়েছে তেমনি স্থানীয় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এনটি