ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলানিউজের বেলালকে চোখ বেঁধে অপহরণ, পরে মুক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
বাংলানিউজের বেলালকে চোখ বেঁধে অপহরণ, পরে মুক্তি

বগুড়া: বাংলানিউজের বগুড়ার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বেলাল হোসেনকে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ জুন) দুপুর ২টার পর বগুড়ার সাতমাথা এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।  

বেলালকে অপহরণের পর দুর্বৃত্তরা তার ব্যাংকার মামার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

তবে বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি-১৬৯৫) করার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ চৌরাস্তায় বেলালকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।

মুক্তি পাওয়ার পর বেলাল গোবিন্দগঞ্জ থেকে বগুড়ার উদ্দেশে রওয়ানা হন। সেখান থেকে তার শেরপুরের বাড়িতে ফিরবেন।  

অপহরণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিক বেলাল জানান, দুপুরে সাতমাথায় একটি ব্যাংকের শাখায় ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন তিনি। ওই ব্যাংকেরই ঢাকা শাখায় কাজ করেন তার মামা। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে মামার সঙ্গে আলাপের পর বেরিয়ে যান বেলাল।

এরপর তিনি শহরের মহিলা কলেজ রোডের দিকে এগিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। সামনে যেতেই দুই ব্যক্তি যাত্রীবেশে তার গাড়িতে ওঠেন। খানিকদূর যাওয়ার পর ওই দুই ব্যক্তি হঠাৎ তার চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে তুলে নেয়।

বেলাল বলেন, আমার চোখ বাঁধার পর তারা আমার কম ব্যবহৃত সিম নিয়ে মামার নম্বরে কল দেয়। শুনতে পাই মামার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এভাবে দুই বার মামাকে কল দেয়। আমাকে মারধর না করলেও গালাগাল করে। প্রথমে যে দু’জন ছিল, তাদের আমি চিনি না, পরে আর ক’জন ছিল, চোখ বাঁধার কারণে অনুমান করতে পারিনি।

গোবিন্দগঞ্জ থেকে বাসযোগে রওয়ানা দিয়ে রাত পৌনে ৮টার দিকে বগুড়ার সাতমাথায় পৌঁছান বেলাল। সেখানে তাকে নেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন বাংলানিউজের ফটো করেসপন্ডেন্ট আরিফ জাহান।

আরিফ বলেন, বেলাল ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর তার খালাতো ভাই এনামুল হক তারেক সদর থানায় জিডি করেন। তারপরই তৎপর হয় প্রশাসন। বেলাল ভাই মুক্তি পাওয়ার খবর পেয়ে খোঁজ নেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি-সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী।

আরিফ বলেন, বেলাল ভাইয়ের অপহরণের খবরে তার সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাদের সঙ্গে শহরে দেখা করার পর তিনি শেরপুরের বাড়িতে ফিরবেন।

বেলালের স্ত্রী ফারজানা আক্তার রোকেয়া বাংলানিউজকে বলেন, তিনি মুক্তি পাওয়ার পর আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বলেছেন ভালো আছেন। একটু শান্তি পাচ্ছি। কিন্তু বাসায় না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারছি না।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।