সোমবার (২৫ জুন) থেকে পক্ষকালব্যাপী বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র সাঈদ খোকন। এ সময় তিনি বলেন, আজ থেকে আগামী ১৫ দিন ডিএসসিসি’র ৫৭টি ওয়ার্ডের কমপক্ষে ১০০টি বাড়িতে অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের পরিদর্শন টিম যাবে।
মেয়র ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোড এলাকার বিভিন্ন বাড়ি এবং নির্মাণাধীন স্থাপনায় জমে থাকা পানি অপসারণের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্ত ও ধ্বংস কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর, ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. শেখ সালাউদ্দীন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. জাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পক্ষকালব্যাপী বিশেষ এই কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে মেয়র বলেন, গত বছর এই সময়ে এই শহরে চিকুনগুনিয়া রোগের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছিলো। সেই সময় চিকুনগুনিয়া রোগের ব্যাপারে এই শহরবাসীর মতো আমরাও অজ্ঞ ছিলাম। তবে তারপরও আমরা দ্রুত যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
তিনি বলেন, গত বছর অনেক নগরবাসী চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্টভোগ করেছেন। আমাদের চেষ্টার কমতি ছিলো না। আমরা বাড়ি বাড়ি ফোন কলের মাধ্যমে ওষুধ ও চিকিৎসক পাঠিয়েছি, ফিজিওথেরাপিস্ট পাঠিয়েছি। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিলো না। তবে এবার গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
মেয়র বলেন, এডিশ মশা যেহেতু বাসা বাড়ির ছাদে, ফুলের টব, স্বচ্ছ পানিতে বংশবিস্তার করে তাই, নগরবাসীকে সচেতন হওয়া জরুরি। তাছাড়া আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগও জরুরি। এবার এই শহরে যাতে কোনোক্রমেই ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার প্রস্তুতি হিসেবে এই কার্যক্রম শুরু করা হলো। ডিএসসিসি এলাকার ৫৭টি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১০০ বাড়িতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কাউন্সিলর, নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের পরিদর্শন টিম যাবে। যে বাসায় প্রবেশের অনুমতি পাবে সেই বাসায় গিয়ে যদি মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া যায় সেটা ধ্বংস করে দিয়ে আসবে, নষ্ট করে দিয়ে আসবে। পাশাপাশি কিভাবে ধ্বংস করতে হয় তার প্রশিক্ষণ দিয়ে আসবে এবং নগরবাসীকে মশার বংশ বিস্তার ধ্বংস করতে উদ্ভুদ্ধ করে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এসএম/জেডএস