সোমবার (২৫ জুন) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, পরশুরামের রতনপুর ও দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ডুকে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার দুর্গাপুর, রতনপুর, উত্তর শালধর, মালি পাথর, খোন্দকিয়া, কুণ্ডেরপাড়, কাউতলী ও দুবলার চান গ্রামের বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ জুন গভীর রাতে প্রবল বর্ষণ ও ফেনীর মুহুরী নদীর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থান ভেঙে যায়। এতে তলিয়ে যায় পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার ৩০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয় লাখেরও বেশি মানুষ। প্লাবনে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, মুরগি-মাছের খামার ও মাঠের সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর আগে ফের প্লাবনে অসহায় হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা এম এ হাসান বলেন, প্রতিবারই বন্যা হয়। প্রশাসন সামান্য সাহায্য নিয়ে আসে যা ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় নগণ্য। আমরা সাহায্য চাই না, আমরা চাই মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের স্থায়ী সমাধান।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান উদ্দিন মুরাদ বাংলানিউজকে জানান, এবারের প্লাবনে বাঁধের ২১টি পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। গত একদিনের টানা বর্ষণে সেসব এলাকা দিয়ে পানি ঢুকে আবার গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি তদারকি করছে এবং দুর্গত মানুষদের পাশে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এসএইচডি/আরবি/