তিনি বলেন, একজন বিচারককে দিয়ে এ ঘটনা তদন্তের জন্য সরকারের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি।
এসময় একরামুলের মা সন্তানের হত্যার বিচার দাবি করেন।
একরামের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলে সন্দেহ হলে সে সব জায়গায় কমিশন প্রতিবাদ জানায়। আমাদের সংবিধান দেশের আইন, প্রচলিত আইন ও পুলিশি আইনে (পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল) সুস্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া আছে কিভাবে অভিযান চালাতে হবে। সেগুলো অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সন্দেহভাজনদের ধরার চেষ্টা করবে কিন্তু সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তালিকা যাতে সঠিক হয়। যাচাই-বাছাই করে অভিযান চালাতে হবে। আইনের বিধি বিধানমেনে চলতে হবে।
‘আইনের বাইরে গিয়ে কোনো মানুষ যাতে মৃত্যুবরণ না করে সেইটা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকেও নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা সরকারকে বারবার বলেছি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি, ডিও লেটার দিয়েছি, সংবাদ মাধ্যমে লিখেছি। মাদকবিরোধী অভিযানে যাতে এ জাতীয় ঘটনা না ঘটে’।
‘মানবাধিকার কমিশন একটা গাইড লাইন তৈরি করছে, অভিযানে কি ধরনের আইন ফলো করতে হবে। আইনগুলো যদি ব্যবহার হয়, কোনো মানুষকে বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হবে না।
একরামুলের পরিবারের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, সরকারের। এই পরিবার যাতে কোনোভাবে আর কোনো ভোগান্তির শিকার না হয়। এরকম ঘটনা আরও যেখানে হয়েছে সেখানেও এ কথা আমরা বলেছি। একরামুল হক
এসময় মানবাধিকার কমিশন সদস্য মো. নজরুল ইসরাম, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
টিটি/এনএইচটি