রোববার (২৪ জুন) রাত ১১টায় ফতুল্লার শিহাচর নূর মসজিদ সংলগ্ন মিলন মিয়ার বাড়ি থেকে খাদিজার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এসময় মরদেহের পাশ থেকে হাতে লেখা চার পাতার একটি চিরকুট জব্দ করা হয়।
চিরকুটে উল্লেখ করা হয়, তার মৃত্যুর জন্য তার স্বামী মুনসুর, কারখানার মালিক নজরুল, সহকর্মী মোফাজ্জল ও নাজমা দায়ী। খাদিজা তার স্বামী মুনসুরকে অনেক ভালোবাসতেন। কাজকর্ম নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর তার স্বামী মুনসুর অন্যত্র চলে যান। একাধিকবার বুঝিয়েও মুনসুরকে কাছে আনতে না পেরে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন খাদিজা।
চিরকুটের আরেকটি অংশে লিখা রয়েছে, আমি ভালোবাসি বলে অপরাধী। আমি ওদের চার জনের বিচার চাই। এটা আমার অনুরোধ। কেনো আমাকে এভাবে মরতে হলো।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের জানান, মরদেহ ও চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। খাদিজার স্বামী মুনসুরকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় কাজ করেন। চিরকুটের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এমআরপি/এনএইচটি