রোববার (২৪ জুন) সকাল থেকে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমটার উপর দিয়ে এবং নতুন পয়েন্টের হিসেবে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধির কারণে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিস্তা অববাহিকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়া তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার চরবেষ্টিত গ্রামে নদীর পানি প্রবেশ করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
তিস্তা অববাহিকার জনপ্রতিনিধিরা বাংলানিউজকে জানায়, তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি মানেই উজানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেয়া হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৬টায় ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ বাইশপুকুর পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ৪০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা সকাল ৯টায় আরও ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়।
এলাকাবাসী জানায়, চরগ্রামের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। পলিতে ভরে থাকা তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেই পানি উপচে এলাকা প্লাবিত করে দেয়। ফলে ঘর বাড়ি ছেড়ে বাঁধে বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে হয়। এলাকাবাসী জানায়, বর্ষাকাল শুরু হলে উজানের ঢলে তিস্তা ভাসিয়ে দেয় সব কিছু।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম বাংলানিউজকে জানান, বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বন্যা দেখা দিবে। আমরা সর্তকাবস্থায় রয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
এনটি