ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মা-২ মেয়েকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
মা-২ মেয়েকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামীর দ্বিতীয় সংসারের দ্বন্দ্বের বিরোধের জের ধরে প্রথম স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তাদের মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল পুকুরে। ওই হত্যাকাণ্ডে ছিলেন স্বামী মাসুদ দেওয়ান, দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা আক্তার ও চাচাতো শ্যালক সবুজ ওরফে সোহেল।

রোববার (২৪ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে গ্রেফতার সোহেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য বেড়িয়ে আসে। এছাড়া অপর ঘাতক মাসুদ দেওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত শুনানির জন্য সোমবার (২৫ জুন) তারিখ নির্ধারণ করেন।

গ্রেফতাররা হলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার দক্ষিণ শাশাআলী এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মাসুদ দেওয়ান ও চাচাতো শ্যালক নেত্রকোনার খালিয়াজুরী থানার ফতুয়া এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে সোহেল।

নিহতরা মাসুদের স্ত্রী নোয়াখালীর সেনবাগের পদুয়া এলাকার আঞ্জুবী আক্তার (২৮) ও তার দুই মেয়ে ৭ বছর বয়সী মাঈদা আক্তার ও ১৫ মাস বয়সী মাহি।

রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানানো হয়, সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউসিং মসজিদ গলির কবির মিয়ার বাড়ির ছয়তলার দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন মাসুদ দেওয়ান। তিনি তার প্রথম স্ত্রী আঞ্জুবীর অমতে তারই বান্ধবী শোভাকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই ছিল। পরে এর জের ধরে মাসুদ তার দ্বিতীয় স্ত্রী শোভা ও শ্যালক সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে আঞ্জুবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওই পরিকল্পনা মোতাবেক গত ৯ জুন তারা প্রথমে আঞ্জুবীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে বড় মেয়ে মাঈদা ও ছোট মেয়ে মাহিকেও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের মরদেহ বস্তায় ভরে সিদ্ধিরগঞ্জের একটি নির্জন স্থানে ও একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) শরফুদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার, পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, পরিদর্শক (অপারেশন) আজিজুল হক প্রমুখ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঘাতক সোহেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আর অপর ঘাতক শোভাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।