রোববার (২৪ জুন) বরিশালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজীরহাটের বিদ্যানন্দপুরের পাঁচ নম্বর পূর্ব রতনপুরের সাবেক ইউপি সদস্য সঞ্জয় চন্দ্র বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ তদন্ত করে মেহেন্দিগঞ্জের সার্কেল এসপিকে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- চরহোগলা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে আমু, হারুন বেপারীর ছেলে সোহাগ বেপারী, হারুন খন্দকারের ছেলে রিমন খন্দকারসহ অজ্ঞাত আরও তিনজন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, সঞ্জয় চন্দ্র এমপি পঙ্কজ নাথের ছোট ভাই ও তার স্ত্রীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়ের করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী সঞ্জয়কে বিভিন্ন সময় লোক দিয়ে হত্যার জন্য হামলা ও বিভিন্ন মামলায় আসামিভুক্ত করেন।
এ ঘটনায় সঞ্জয় চন্দ্র বাদী হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
এতে এমপি পঙ্কজ নাথ আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১২ জুন রাত ১১টায় আসামি আমু, সোহাগ বেপারী, রিমনসহ তিন থেকে চার জনকে সঞ্জয়কে নিতে পাঠায়। সঞ্জয় যেতে না চাইলে জোর করে মেহেন্দিগঞ্জ ডাক বাংলোতে নিয়ে যায়। সেখানে এমপি পঙ্কজ নাথ সঞ্জয়কে বেধড়ক মারধর করেন।
পরবর্তীতে সঞ্জয়কে মামলার আসামিরা মারধর করেন ও রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে মাঝকাটা নদীতে ফেলে দেয় সঞ্জয়কে। পরে অন্যান্য সাক্ষীরা বাদীকে খোঁজাখুজি করে নদীর পাড়ে খুঁজে পায়। পরেরদিন বাদীকে মেহেন্দিগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হলে আসামিরা যেতে বাঁধা দেয়।
বিষয়টি বরিশালের পুলিশ সুপারকে (এসপি) জানানো হলে তিনি কাজীরহাট থানার ওসিকে সঞ্জয়ের চিকিৎসার ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেন। এরপরে পুলিশের সহযোগিতায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে গত ১৭ জুন ভর্তি হন সঞ্জয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি আদালতে রোববার অভিযোগটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়ে এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করাচ্ছে। আমি মনে করি তারা এই মামলাগুলো করে হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। চার বছর ধরে হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ এলাকার উন্নয়নে সহযোগিতা করছি যেটা একটি মহলের সহ্য হচ্ছে না।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
এমএস/এএটি