ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেখ হাসিনার দক্ষ হাতে আ’লীগের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮
শেখ হাসিনার দক্ষ হাতে আ’লীগের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বঙ্গবন্ধু যেমন একটা সিদ্ধান্ত নিলে কোনো চাপে পড়লেও অনড় থাকতেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তেমনই। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু যেমন লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাজনীতি করতেন, শেখ হাসিনাও এ পথেই হাঁটেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যা বলতেন, তাই করতেন। কোনো আপোষ ছিল না তার কাছে।

ঠিক শেখ হাসিনাও তাই। যেটা বলেন, ভেবে চিন্তেই বলেন, তিনি কারও কথায় কান দেন না।

শনিবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা করতে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।

বাজেট আলোচনার ওপর প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বললেও বাজেট নিয়ে কথা বলেন মাত্র দেড় মিনিট। বাকি সময় আওয়মী লীগের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরেন এই নেতা। এর আগে বিকেল ৫টার পরই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কথা স্মরণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা কান্নারত অবস্থায় বলেছিলেন লাখ লাখ লোকের মাঝে আমি সবাইকে দেখি কিন্তু আমি দেখি না আমার মা, বাবা, ভাইকে। সেদিন যে বক্তৃতা তিনি করেছিলেন তার সারমর্ম তিনি আজ বাস্তবায়ন করছেন। তার নেতৃত্বে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে তিনি আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার আসনে বসিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের পরাজিত করে বিএনপি ক্ষমতায় আসলো, দেশটাকে আবার পেছনে নিয়ে গেল। আবার ২০০৮ সালের নির্বাচনে একটানা সাড়ে নয় বছর ক্ষমতায় আছি। এই সময়ে দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ? আজ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হয়েছে।
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে যদি পতাকা না দিতাম, তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। তার হাতে পতাকা না দিলে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত, রাজাকারদের বিচার হতো না। স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ হতো না। তিনি (শেখ হাসিনা) দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করেন। তার জ্ঞানের প্রসারতা অনেক। তিনি যেটা করেন চিন্তা-ভাবনা করেই করেন। তার লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর মতো। সেদিন বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ।
 
তিনি আরও বলেন, যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার দক্ষ হাতে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।
 
বাজেট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী একটি সুন্দর বাজেট দিয়েছেন। যেহেতু এই বাজেট আমরা কেবিনেটে আলোচনা করেছি। তাই এখানে বাজেটের ভালো-মন্দ আলোচনা করার এখতিয়ার আমার নাই। বাজেটের প্রভাবে সব মানুষই সুবিধা ভোগ করবে। দু’একটা এদিক-ওদিক আছে। যেমন দেশীয় শিল্প রক্ষা করার ব্যাপারে দুই একটা ত্রুটি আছে, সেটা আমি নিজে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি, নিশ্চয়ই সেগুলো দেখা হবে। সামগ্রিকভাবে চমৎকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮
এসএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad