সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২২ জুন) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। নুরুল হক ওই গ্রামের নওয়াব উল্লার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজাপুর গ্রামের নওয়াব উল্লা এবং তার ছোট ভাই মাওলানা আব্দুল্লার মধ্যে বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ জুন) রাত ৯টায় তাদের বাড়িতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিরোধ নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা চলাকালে কথা কাটাকাটি শুরু হলে মাওলানা আব্দুল্লার স্ত্রী আতিকা বেগম কাঠের লাকড়ি দিয়ে নওয়াব উল্লার ছেলে নুরুল হকের মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। নুরুল হককে উদ্ধার করে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
শুক্রবার (২২ জুন) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। সালিশে হট্টগোল শুরু হলে মাওলানা আব্দুল্লার দুই ছেলে শফি আহমেদ এবং তকি আহমেদ আহত হয়। তাদের হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক জানান, সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নুরুল হকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
আরএ