ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরিঘাট এলাকায় আটকে থেকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা রাজধানীমুখী এসব মানুষ ও পরিবহন শ্রমিক
শুক্রবার (২২ জুন) বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য সহকারী ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই ঢাকামুখী বাড়তি যানবাহন ও যাত্রীর চাপ রয়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়।
যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। তবে একসঙ্গে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির চাপ পড়ে যাওয়ায় এমন ভোগান্তি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির চাপ বেশি থাকার কারণে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্যান্য ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে।
সবশেষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির সংখ্যা কয়েক শতাধিক বলে জানা গেছে। এসব যানবাহন পারাপারে সন্ধ্যা গড়িয়ে যাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
পাটুরিয়া নৌ থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মনছুর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দৌলতদিয়া থেকে ঢাকামুখী লঞ্চ পারাপারে যাত্রীদের চাপ রয়েছে পাটুরিয়া ঘাটে। তবে ঢাকামুখী লোকাল বাস বেশি থাকার কারণে তেমন কোনো ভোগান্তি হচ্ছে না। ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলে শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারের অপ্রক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী পারাপারে ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে। পাটুরিয়া ঘাটে লঞ্চ যাত্রীদের চাপ না থাকলেও দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ঢাকামুখী মানুষের চাপ রয়েছে। সন্ধ্যার পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা করেন তিনি।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের
মানিকগঞ্জ জেলার ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় কোনো যানজট নেই। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
কেএসএইচ/টিএ