ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দৌলতদিয়ায় পারের অপেক্ষায় ৭ শতাধিক যানবাহন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
দৌলতদিয়ায় পারের অপেক্ষায় ৭ শতাধিক যানবাহন দৌলতদিয়ায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন

রাজবাড়ী: ঈদের ছুটি শেষে কর্মজীবী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট-বড় সাত শতাধিক যানবাহন। পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চ থাকা সত্বেও একসঙ্গে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। 

শুক্রবার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ এলাকা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তায় বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ সাত শতাধিক যানবাহন ফেরিতে ওঠার জন্য সিরিয়ালে রয়েছে। তবে এরমধ্যে যাত্রবাহী বাসের সংখ্যাই বেশি।

এদিকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের ফলে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীদের ঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মহাসড়কের উপর নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে লঞ্চঘাটে পৌঁছাতে হচ্ছে সেসব যাত্রীদের। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ শেষে দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকাগামী বিভিন্ন গাড়ি ও মানুষের চাপ বেড়েছে। এসব গাড়ি পারাপারে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। পাঁচটি ফেরিঘাট সচল রয়েছে। অন্য সময়ের চেয়ে অধিক ফেরি চলাচল করলেও ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ একসঙ্গে হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বেশি থাকায় জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য ট্রাক পারাপার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মো. নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। তাই দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে কর্মমুখী হাজারো যাত্রীর ঢল নেমেছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী পারাপারে ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।

তিনি বলেন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে না। স্বাভাবিক সময়ের মতো এখনো ভাড়া ২৫ টাকাই নেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো রকম অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে থেকেই দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল ও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান করছে। তারা সার্বক্ষণিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরদারি করছে। যাত্রীদের ফেরিতে ওঠার জন্য সিরিয়ালে আটকে থেকে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া নিরাপত্তার দিক থেকে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।