ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঢাকামুখো যাত্রীর ঢল 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঢাকামুখো যাত্রীর ঢল  কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঢাকামুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় 

মাদারীপুর: শুক্রবার (২২ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীমুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে এ ঢল। দুপুর ১২টার পর থেকে যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কাঁঠালবাড়ী ঘাট কর্তৃপক্ষ। 

কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিগুলো শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দিয়েই যাত্রী শূন্য ফেরত আসছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে।  

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁঠালবাড়ী বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রীরা কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে নৌযানে উঠছেন।

লঞ্চ ও স্পিডবোট কাউন্টারের সামনে যাত্রীরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। লঞ্চ ও ফেরির ছাদ থেকে শুরু করে নৌযানগুলোর প্রতিটি স্থানে যাত্রী তোলা হচ্ছে। স্পিডবোট ঘাটের টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। ঘাটের প্রতিটি প্রবেশপথেই রয়েছে উপচে পড়া ভিড়।

বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁঠালবাড়ী ঘাট হয়ে কাজে ফেরা যাত্রীদের ঢল নামে। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি কানায় কানায় পূর্ণ যাত্রীতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন শিমুলিয়া থেকে যাত্রীশূন্য ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট এনে ভিড় সামাল দিচ্ছে। অন্যান্য দিন ফেরিতে যানবাহন সংকট থাকলেও এদিন সকাল থেকেই যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়া নৌযানগুলো যাত্রী নামিয়ে দিয়েই দেরি না করে যাত্রী শূন্য ফিরে আসছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দেশে। ঈদে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে এ রুটে ২০টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ, দেড় শতাধিক স্পিডবোট রাখা হয়েছে। এছাড়া তিন শতাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।

কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাট সূত্র জানিয়েছে, শিমুলিয়া থেকে ফিরে আসা লঞ্চগুলো কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ভিড়তেই পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে একেকটি লঞ্চ। এদিকে যাত্রীদের চাপে লঞ্চ ঘাটে এক যাত্রী পন্টুন থেকে পানিতে পড়ে গেলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে।

এদিকে, যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপকে পুঁজি করে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। নৌযানগুলো ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদের আগে থেকেই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও অনেকটা নিরুপায় হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়েই তাদের পার হতে হচ্ছে পদ্মা নদী।  

ঢাকাগামী যাত্রীরা জানান, লঞ্চে ৩০ টাকার পরিবর্তে নেয়া হচ্ছে ৪০ টাকা। আর স্পিডবোটে ১২০ টাকার ভাড়া আদায় হচ্ছে ২০০ টাকা। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।

বিআইডব্লিউটিএ'র কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে ঘাটে। বেশিরভাগ যাত্রীই লঞ্চে পদ্মা পার হচ্ছেন। অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে না। ধারণক্ষমতার বাইরে আমরা কোনো যাত্রী তুলতে দিচ্ছি না। লঞ্চগুলো সতর্কতার সঙ্গে যাত্রী পার করছে। ’

কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) কুসল কুমার সাহা বলেন, ‘ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ চোখে পড়ার মতো। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ঘাট এলাকায় আমাদের পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান আহমেদ বলেন, ঘাট এলাকায় ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। এজন্য নৌযানগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় ঘাট এলাকায় আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।