এদের মধ্যে চারজনকে জড়িত সন্দেহে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- বাবু, আনোয়ার, মোজাম্মেল ও রুবেল।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুরে খাগড়াছড়ির বিনোদন কেন্দ্র জেলা পরিষদ পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত কিশোরী খাগড়াছড়ির পাঁচ মাইলের কালাপানি ছড়া এলাকার বাসিন্দা। খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কিশোরীসহ চার বন্ধু খাগড়াছড়ির বিনোদন কেন্দ্র জেলা পরিষদ পার্কে ঘুরতে যায়। এসময় বন্ধু নয়ন ময় ত্রিপুরার সঙ্গে কিশোরী আলাদাভাবে গল্প করছিল। একই সময়ে একদল যুবক এসে নয়নকে আটকে রেখে কিশোরীর চোখ-মুখ বেঁধে গণধর্ষণ করে।
এসময় স্থানীয় এক চায়ের দোকানদান এ ঘটনা দেখতে পেয়ে অন্যদের সহযোগীতায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেন। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কের কর্মকর্তা ইমন ত্রিপুরা বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি স্থানীয় চায়ের দোকানদার দেখতে পেয়ে অন্যদের নিয়ে প্রথমে মোজাম্মেলকে আটক করে। পরে আরও বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলী আহম্মেদ খান বাংলানিউজকে জানান, আটকদের মধ্যে চার ধর্ষককে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
এডি/ওএইচ/