ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদ্রাসা সুপারকে লাঞ্ছনার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
মাদ্রাসা সুপারকে লাঞ্ছনার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার পুলিশের হাতে আটক জাহাঙ্গীর খন্দকার/ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশালের বাকেরগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারকে মাথায় মল ঢেলে লাঞ্ছনার ঘটনায় মূল হোতা ও মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জাহাঙ্গীর খন্দকার বাকেরগঞ্জ উপজেলার লোচনাবাদ এলাকার মৃত ইসতেহার খন্দকারের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকালে পাবনা জেলার বেড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান রাতে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ১১ মে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবু হানিফার মাথায় মল ঢেলে লাঞ্ছনার পরে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান আসামি জাহাঙ্গীর খন্দকার।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আ. হকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে পাবনা জেলার বেড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাকে বরিশালে নিয়ে আসা হয়। তাকে আদালতের কাছে সোপর্দ করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান ওসি মাসুদুজ্জামান।

গত ১১ মে ফজরের নামাজের পর মাওলানা আবু হানিফা মসজিদ থেকে বের হলে তার পথরোধ করে দুর্বৃত্তরা মাথায় মল ঢেলে লাঞ্ছনা করেন। যার ভিডিও চিত্র দুর্বৃত্তরাই ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।  

লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে বিষয়টি চেপে যেতে চাইলেও ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ১৩ মে আবু হানিফা বাদী হয়ে ৮ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর খন্দকার, জাকির হোসেন জাকারিয়া, মো. মাসুম সরদার, মো. এনামুল হাওলাদার, মো. রেজাউল খান, মো. মিনজু, জাহাঙ্গীর খন্দকার, সোহেল খন্দকার ও মিরাজ হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।