তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের টাকা লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের নাম প্রকাশ না করে, তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে পীর ফজলুর রহমান এ কথা বলেন।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, দুনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের জন্য বাজেটে ১৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের টাকা লুটপাটকারীদের হাতে চলে যায়। সেই ব্যাংকের মূলধনের যোগানের জন্য এ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এ বরাদ্দ এবার কৌশলে রাখা হয়েছে। জনগণের টাকা ঋণের নামের লুটপাট করে পাচার করা হবে আর জনগণের টাকা দিয়ে সেই ব্যাংকের মূলধনের জন্য বরাদ্দ রাখবেন এটা হতে পারে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের টাকা লুটপাটের তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠনের কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি সেটা করেননি। রিজার্ভ চুরির তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করলেন না অর্থমন্ত্রী। শেয়ার বাজারের লুটপাটের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হলো না। তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেওয়াই হলো না, তাদের নামও প্রকাশ করা হলো না। কার স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করলেন না অর্থমন্ত্রী। কিসের লজ্জা। দুনীতি লুটপাট আড়াল করে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে এ বিশাল বাজেট দিয়ে উন্নয়ন হবে না।
বাজেটের ঘাটতি পূরণে অর্থমন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। বাজেট বক্তৃতায় সরকারের সাফল্যের কথা বলেছেন, কিন্তু ব্যর্থতার কথা বলেনি। যে সাফল্যের জয়গান তিনি গেয়েছেন সেটা আমরা জানি। মাথা পিছু আয়ের কথা বলা হয়েছে ১৯৫৬ ডলার। কিন্তু হাওয়ের একজন মানুষের কাছে তার মাথা পিছু আয়ের কথা বলা হলে তিনি অবাক হবেন। কিছু মানুষের কাছে সমস্ত সম্পদ চলে যাচ্ছে। প্রান্তিক মানুষের কাছে মাথা পিছু আয় পৌছাছে না।
তিনি বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমরা আর্তনাদ শুনতে চাই না। প্রয়োজনে আলাদা ট্রাইবুনাল গঠন করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিচার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
এসকে/ওএইচ/