কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গোমাতলী গ্রামের হুমায়ন আজাদ ও ফরিদা ইয়াসমিন দম্পত্তির একমাত্র ছেলে আবির ইকমান।
হুমায়ন বলেন, ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর আবিরের ভীষণ জ্বর ও বমি হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি পেশায় লবণ চাষি। পাশপাশি আমার একটি মুদির দোকান ছিলো। কিন্তু আবিরকে নিয়ে দৌড়ঝাপ করতে গিয়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। বিক্রি করেছি লবণ চাষের জমি ও দোকান। এ পর্যন্ত আবিরের চিকিৎসায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
আবিরের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে সাড়ে ৩ বছরের একটি চিকিৎসা সম্পন্ন করতে হবে। তবেই তাকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু আমার সে সাধ্য নেই। আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই। দয়া করে আমার ছেলেকে বাঁচান। আমি আমার ছেলের সুস্থতার জন্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন, সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
শিশু আবিরের মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমার নাড়ি ছেড়া ধন এখন চমেক হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু হেমাটলিজি বিভাগে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক স্টেপে তার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তাকে পালাক্রমে ৩ মাস কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন ইনজেকশন এবং ওষুধ দিতে হয়। তার চিকিৎসা করতে গিয়ে সবকিছু বিক্রি করার পরও সোয়া ১ লাখ টাকা ধার করেছি। তাকে আরো আড়াই বছরের বেশি চিকিৎসা দিতে হবে। এজন্য দরকার আরো ১০ লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, দয়া করুন। আমার ছেলেকে বাঁচান। আপনারা যদি চান তবে আমার ছেলে বাঁচবে। আপনারা সাহায্য করুন।
এ বিষয়ে পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, হুমায়ন সম্পর্কে আমার ভাগিনা হয়। আমি জানি তার ছেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমরা ইউপির পক্ষ থেকে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করবো।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নোমান হোসেন প্রিন্স বলেন, পরিবারটি যাতে প্রধামন্ত্রীর ঈদ উপহার পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব ততটুকু সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া আমি সমাজের বিত্তবান লোকদের ওই ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা অনুরোধ করব এবং আমার পরিচিতজনদের কাছে নিজেই আর্জি জানাব।
আবির ইকমানকে সাহায্যে পাঠানোর ঠিকানা: রোগীর নানী আয়েশা সিদ্দিকী, অ্যাকাউন্ট নম্বর ৩৫৪৮৯, ইসলামী ব্যাংক, ঈদগাঁও শাখা, কক্সবাজার। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন রোগীর বাবা হুমায়ন আজাদের ০১৮২৮ ৪১৬৩১৫ নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
টিটি/বিএসকে