ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে শান্ত মনু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে শান্ত মনু মনু নদের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর ও মনুর বর্তমান অবস্থা। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে অবশেষে শান্ত হলো মনু নদ। এর আগে টানা সাত দিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় সর্বস্ব হারিয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। নিহত হয়েছেন চার জন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মনুর পানি সর্বোচ্চ বিপদসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সর্বশেষ ২০০৭ সালের জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে ১৯ দশমিক ৫৭ মিটার পানি প্রবাহের রেকর্ড করা হয় মনু নদে।

বর্তমানে মনুর পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, উজানের ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশর ও তার আশপাশের এলাকায় ভারি বর্ষণ ও বন্যা দেখা দেয়ায় সে পানি ধলাই হয়ে মনু নদে প্রবাহিত হয়েছে। এর ফলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে মনুর ১৯টি স্থানের ভাঙন দেখা দেয়। মনুর ভাঙনে জেলার কুলাউড়া উপজেলার, হাজিপুর, শরীফপুর, পৃথিমপাশা, টিলাগাও, রাজনগর উপজেলার কামারচার, মনসুর নগর, টেংরা, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় মনুর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে শহরের একাংশ প্লাবিত হয়। মনুর কবলে পড়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে টানা পাঁচদিন মানবেতর জীবনযাপন করেন। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।  

নদীগর্ভে নিজের ঘরবাড়ি হারানো রাজগর উপজেলার কদমহাটা এলাকার মনোয়ারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ বাঁধ ভেঙে সাঁ সাঁ করে পানি আসতে লাগলো। ঘরের সমস্ত জিনিষ ফেলে প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়ে উঁচু স্থানের আশ্রয় নিলাম। পেছন ফিরে আর নিজের ঘর দেখতে পেলাম না। সব পানিতে ডুবে গেছে। পানি নামায় সে ঘর ভেসে উঠলেও সব মালামাল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।  

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবা) নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ভয়ানক রূপ ধারণ করেছিল মনু নদ। বিপদসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এর আগে পানি যায়নি। টানা সাতদিন পর এখন মনুর পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু যেসব বাঁধ ভেঙেছে সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে।

** পানি নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।