বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৮’ নিয়ে একান্ত আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তৃণমূলের প্রশাসনকে চাঙ্গা রাখা, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে গতি আনা, তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের নীতি ও দর্শনের বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা, ভুলভ্রান্তি সংশোধন, সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরকারের নীতি, দর্শন, প্রাধিকার- এগুলো নিয়ে প্রতি বছর এ বৈঠক হয়। এবারও এটা হবে। তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু প্রোগ্রামও চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু পুরো প্রোগ্রাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরাও তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া, পরামর্শ প্রস্তাব আকারে সরকারের কাছে তুলে ধরেন। ২০১৭ সালের সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে ৩৪৯টি প্রস্তাব পেয়েছিলো সরকার। এগুলো ছিলো ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত।
ফারুক আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলন রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। এখানে মুক্ত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মাঠ প্রশাসন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় শোনেন ও নির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আসা ডিসিদের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও প্রধানমন্ত্রীর অধিবেশন ছাড়াও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা অধিবেশন চলতে থাকে। বঙ্গভবনে আয়োজিত রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ডিসিদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন।
২০১৭ সালের সম্মেলনে মোট ২২টি অধিবেশন ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ অংশগ্রহণকারী ৫২টি মন্ত্রণালয়ের ১৮টি কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এবারও সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা অংশ নেবেন। কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আগামী ২৬ জুলাই সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী অধিবেশন।
ফারুক আহমেদ বলেন, এই সপ্তাহেই সম্মেলনের তারিখ জানিয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবারও জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের মতামত। এখন সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রোগ্রাম ডিজাইনের কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
আরএম/আরআর