বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের রেলক্রসিং সংলগ্ন সড়কের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হৃদয় উপজেলার দর্শনার হঠাৎপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন পরানপুর সড়কের পাশে একটি গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে ওই মরদেহটি দর্শনার হঠাৎ পাড়ার হৃদয়ের বলে শনাক্ত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। দামুড়হুদা থানার মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, নিহত হৃদয় জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত ইয়াবা বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী ও ছিনতাইসহ ১৪টি মামলা রয়েছে।
নিজেদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা ওই পুলিশ কর্মকর্তার।
নিহতের বাবা বাচ্চু মিয়া ও মা শিরিনা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, বেশ কিছুদিন আগে মাদকদ্রব্যের সঙ্গে হৃদয় সংশ্লিষ্ট থাকলেও বর্তমানে সে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতো। তাদের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শান্তিপাড়া এলাকার ইনতাজের দোকানের সামনে থেকে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হৃদয়কে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকালে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ছুটে যাই আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
এএটি