লঞ্চ মালিকদের ধারণা, শুক্রবার (২২ জুন) পর্যন্ত এ ভিড় বাড়তে পারে। তবে যাত্রীর চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বরিশাল নদীবন্দর থেকে গত দু’দিন নয়টি করে লঞ্চ ঢাকা রওনা করেছে। আজ ১১টি লঞ্চ রওনা হবে। এছাড়াও সরকারি জাহাজ ও ভায়া রুটের আরও বেশ কয়েকটি লঞ্চ যাত্রা করবে বলে জানা গেছে।
বরিশাল নদীবন্দর ঘুরে দেখা যায়, বুধবার বিকেল ৩টা থেকেই লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের আনাগোনা শুরু হয়।
যাত্রীরা জানান, স্পেশাল সার্ভিসের লঞ্চগুলোর কেবিন বুকিং হয়ে যাওয়ায় কোনো কেবিন খালি নেই। তাই কেবিন না পেয়ে অনেকেই ডেকে যাচ্ছেন।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, অনেকেই কেবিনের বাড়তি দাম রাখছেন।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা সরকার মিঠু বাংলানিউজকে বলেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ ছাড়তে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে সভা ও মোটিভেশন ওয়ার্ক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা ও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, যাত্রীদের ভিড় বাড়ার পাশাপাশি পুরো বন্দর এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বন্দর এলাকার নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশ ছাড়াও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও আনসারের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৮
এমএস/এএইচ/টিএ