ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কমলাপুরে রাজধানীমুখী মানুষের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৮
কমলাপুরে রাজধানীমুখী মানুষের ভিড় কমলাপুরে রাজধানীমুখী মানুষের ভিড়। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: যানজট আর ব্যস্তনগরী ঢাকা। ঈদ উপলক্ষে গত কয়েকদিন ঢাকা রুপ নেয় কোলাহল মুক্ত শহরে। রাস্তায় ছিল না কোনো যানজট কিংবা অফিস-আদালতগামী মানুষের ভিড়।

কয়েকদিন বিরতি দিয়ে আবারও ব্যস্ততম নগরী হতে চলেছে রাজধানী। নিজ নিজ কার্যালয়ে ফিরতে শুরু করেছে কর্মমুখী মানুষ।

যদিও সরকারি অফিস আরও দু’দিন আগেই (সোমবার থেকে) খুলেছে।

বুধবার (২০ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে রাজধানীমুখী মানুষের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে ছিল খুব ভিড়। এ যেনো ফাঁকা ঢাকা আবারও চিরচেনায় ফিরতে শুরু করেছে। আকবার আলী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন। তার অফিস সোমবার থেকে খুললেও তিনি এদিন ঢাকায় চলে  এসেছেন।

বাংলানিউজের কথা হয় আকবর আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সোমবার সরকারি ছুটি শেষ হয়, আমার অন্য কলিগরা সোমবার থেকে অফিস শুরু করেছেন। আমি দু’দিন অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার থেকে আমি অফিস করবো। পরিবার নিয়ে ঝামেলা এড়াতে একদিন আগেই ঢাকায় চলে এলাম। রাজধানীতে ফিরছে নগরবাসী।  ছবি: শাকিল আহমেদজামালপুর থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরলেন রাজমিস্ত্রী শফিক।   ঈদের ছুটি গ্রামে কেমন কাটলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ মানে বাড়তি আনন্দ। গ্রামে সবার সঙ্গে ঈদ করায় এ আনন্দ আরও বেড়ে যায়। এ কয়দিন পরিবার, বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে খুব ভালো কাটল। মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাতে যখন ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবো তখন মনটা খারাপ ছিল।

তিনি আরও বলেন, সবাইকে ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করছিল না। তবুও আসতে হলো পরিবার ছেড়ে কাজের উদ্দেশে। আবারও কোরবানির ঈদে বাড়ি যাবো তখনও আনন্দ করবো।

মো. রবিন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ছুটি কাটিয়ে বুধবার ঢাকায় ফিরলাম। আরও কিছুদিন থাকার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কোচিং শুরু হওয়ায় সেটা হলো না। তিনি বলেন, এই কয়েকটা দিন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অনেক ভালো কাটল। গ্রামে ঈদ করার মজাই আলাদা, সবার বাড়িতে যাওয়া হয়। আজ ঢাকায় এলাম এখন সবাইকে অনেক মিস করছি । কমলাপুরে রাজধানীমুখী মানুষের ভিড়।  ছবি: শাকিল আহমেদহাসিনা বেগম যাত্রাবাড়ি এলাকায় একটি সাবকন্ট্রাক পোশাক কারখানায় কাজ করেন বুধবার থেকে তার অফিস শুরু। এজন্য সকালে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আসলেন।

এবার তার ঈদ কেমন কাটলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব ভালো ঈদ কেটেছে। তবে বাড়ি ফেরার দিন খুব কষ্ট হয়েছিল। পরে প্রিয়জনদের মুখ দেখ সব কষ্ট দূর হয়েছে। আজ ঢাকায় এলাম কিন্তু পরিবারের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। তাদের কথা বার বার মনে পড়ছে। তবুও ঢাকায় আসা কাজ করতে হবে আয় করতে হবে।

ঈদের আগে বেতন-বোনাস পেয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছুটির শেষ দিন বেতন পেয়েছি, বোনাস পেয়েছিলাম আরও আগে। এ টাকা দিয়ে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৮
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।