ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড়

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড় গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত। ছবি: বাংলানিউজ

শীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) থেকে ফিরে: অফিস পাড়া ধীরে ধীরে সরগরম হয়ে ওঠছে। কাটতে শুরু করেছে ঈদের ছুটির রেশ। মানুষ ফিরতে শুরু করেছে যান্ত্রিক শহরে। ভিন্ন চিত্র চট্টগ্রামের শীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিকেলে গিয়ে দেখা যায় উপচেপড়া দর্শনার্থীদের ভিড়। সেখানে এখনো ঈদের আমেজ পুরোপুরি বিরাজমান।

 

বছরের অন্য সময় বেশ নিরিবিলি স্থানটিতে এখন হাজারো প্রাণের কোলাহল। সমুদ্র সৈকতের বালুভূমি আর চার পাশের মোহনীয় রুপে মোহবিষ্ট হচ্ছে দর্শনার্থীরা। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত।  ছবি: বাংলানিউজকথা হয় আসা কয়েকজন দর্শনার্থীদের সঙ্গে। সবাই বেশ উচ্ছ্বসিত এমন একটি জায়গায় আসতে পেরে।

ফেনী থেকে আসা ফটো সাংবাদিক দুলাল তালুকদার জানান, সমুদ্র সৈকত আরো অনেক দেখেছি, এমন ভিন্ন আবহের সৈকত আর দেখিনি। সত্যিই ভিন্ন রকম সৌন্দর্য রয়েছে এখানে।

ইয়াসিন আরাফাত রুবেল জানান, সবুজের মধ্যে অথৈ জল, কেওড়া বন। কিছুটা সুন্দর বনের আবহ রয়েছে এখানে। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত।  ছবি: বাংলানিউজগুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের অবস্থান খুব দূরে নয়। উপ-মহাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান সীতাকুণ্ডে। পাহাড় আর ঝর্ণার বৈচিত্রের জনপদটির সেই পাহাড় এক সময় মিশেছে সমতলে। এটি অন্য সব সমুদ্র সৈকত থেকে আলাদা। সৈকত সম্পর্কিত ধারণা ভেঙে দেবে এর সৌন্দর্য।

এখানে দেখা মিলবে সৈকতের এক পাশেই বয়ে যাওয়া খাল। সেই খালে নৌকা নিয়ে গোধূলি বেলায় ভাটার অপেক্ষায় মাঝি। সমুদ্রের জলে সূর্যের রক্তিম আভা। জল আর আকাশ মিলেছে সোনালি রঙের ক্যানভাসে।

এখানে বিস্তৃত সমভূমি নয়। বরং মাটির মধ্য দিয়ে খালের মতো এঁকেবেঁকে ঢুকে গেছে সমুদ্র। সবুজ ঘাসের ফাঁকে স্রোতের জল ঢুকে পড়া সমুদ্র সৈকত মুগ্ধ করবে সবাইকে। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত।  ছবি: বাংলানিউজসমুদ্র সৈকতে বিচের স্বচ্ছ বালির ওপর দাঁড়িয়ে গোধূলি বেলায় গল্প করতে করতে কিছুটা সময় পেরিয়ে যাবে অজান্তেই। দর্শনার্থীদের অনেকেই সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন ফুটবল। মেতে ওঠেছেন ফুটবল খেলায়।

আব্বাস উদ্দিন নামে স্থানীয় একজন জানান, চলতি ঈদ মৌসুমে এ সৈকতে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় হয়েছে। সাধারণ সময়ের চেয়ে যা কয়েকগুণ বেশি। দর্শনার্থীরা বলছেন যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবাসিক ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে সমুদ্র সৈকতটি দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে বাসে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে নেমে যেতে পারেন সীতাকুণ্ড। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে পশ্চিমে তিন কিলোমিটার গেলেই এই সৈকত। রিজার্ভ ভাড়ায় অটোরিকশা একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকা। লোকাল গেলে জনপ্রতি ৩০ টাকা। ট্রেন আর বিমানে গেলে চট্টগ্রাম শহরে নেমে সীতাকুণ্ড আসতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
এসএইচডি/এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।